জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী আজ
প্রতিক্ষণ ডেস্ক
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৪তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৮১ সালের এই দিনে একদল বিপথগামী সেনা সদস্যের হাতে চট্টগ্রামের সার্কিট হাউজে নৃশংসভাবে নিহত হন তিনি।
দিবসটি উপলক্ষ্যে ১৪ দিনব্যাপী নানা কমসূচি পালন করছে বিএনপি। দলের সকল অঙ্গ সংগঠন দেশব্যাপী নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে স্মরণ করছে মুক্তিযুদ্ধের জেড ফোর্সের অধিনায়ক ও অন্যতম সেক্টর কমান্ডার মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ সকাল ১১টায় জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ, ফাতেহা পাঠ, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল, রাজধানীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে দরিদ্রদের মধ্যে কাঙ্গালি ভোজ, রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ কেন্দ্রীয় নেতারা এসব কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকবেন।
১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়া জেলার বাগবাড়ী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন সাবেক এই রাষ্ট্রপতি। পিতা মনসুর রহমান ও মাতা জাহানারা খাতুন ওরফে রানীর পাঁচ সন্তানের মধ্যে জিয়াউর রহমান ছিলেন দ্বিতীয়। তার শৈশব কাটে বগুড়া ও কলকাতায়। ভারত বিভাগের পর রসায়নবিদ পিতার বদলির সুবাদে তিনি করাচি যান। করাচির একাডেমি স্কুল থেকে ১৯৫২ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করেন। ১৯৫৩ সালে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগ দেন কাকুল মিলিটারি একাডেমিতে।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালো রাতে পাকিস্তানের বর্বর হানাদার বাহিনী যখন নিরীহ বাঙালির ওপর নির্মম হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠে, তখন চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন তিনি। চট্টগ্রাম থেকে বেতারে প্রচারিত তার এ ঘোষণায় মুক্তিকামী জনগণকে উদ্বুদ্ধ ও আশান্বিত করে তোলে। এরপর তার নেতৃত্বে অষ্টম ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্ট মুক্তিযুদ্ধ শুরু করে এবং যুদ্ধকালে তিনি প্রথমে সেক্টর কমান্ডার ও পরে জেড ফোর্সের নেতৃত্ব দেন। মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বীরউত্তম উপাধিতে ভূষিত করা হয় তাকে।
প্রতিক্ষণ/এডি/নির্ঝর